সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সংসদীয় আসন ৪টি। এক সময় এ ৪টি আসনই ছিল জাতীয় পার্টির দখলে। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় এ জেলার ৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসন হাতছাড়া হয়ে চলে যায় আওয়ামী লীগের কাছে। এরপর মহাজোট হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নীলফামারী-৩ ও নীলফামারী- ৪ আসনটি পায় জাতীয় পার্টি। এবার ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এ আসন দুটিও হাতছাড়া হয়ে যায় জাতীয় পার্টির।
নীলফামারীর সংসদীয় ৪টি আসনে এবার জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ভরাডুবি হয়েছে। অনেক ভোটের ব্যবধানে ৩ নম্বরে পিছিয়ে গেছে লাঙ্গল। সাধারণ জনগণ বলছেন, জাতীয় পার্টি নিজ দলকে সুসংগঠিত করতে পারেননি। দলে ভালো কোনো নেতা নেই। কোনো কোনো স্থানে কমিটি পর্যন্ত নেই। অনেকে নিজে নিজেকে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি করে পরিচয় দিয়ে থাকেন। যে দলের কমিটি হয় না। হলেও কর্মকাণ্ড নেই। সে দল কীভাবে জয়ের আশা করে।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কথাই ধরা যাক। এখানে এক সময় ৪ বার এমপি ছিলেন জাতীয় পার্টি। পৌরসভার চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিল জাতীয় পার্টির। এটির কারণ ছিল সে সময় এখানে জাতীয় পার্টিতে ছিলেন মরহুম আবদুল হামিদ মাস্টার। তিনি দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এখানে জাতীয় পার্টির নড়বড় অবস্থা। বলা চলে নেতা শূন্য জাতীয় পার্টি। যারা ছিলেন দায়িত্বে তারা রাজনীতি কি জানতেন না। তাছাড়া তাদের গ্রহণযোগ্যতার অভাবও ছিল।
এমনও নেতা সৈয়দপুরে আছে যাদের কোনো পরিচিতি নেই। তার ওপর আবার দলীয় কোন্দল তো লেগে আছেই।
সৈয়দপুরে জাপার এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের কারণে আজ দলের বারো অবস্থা। দলকে সুসংগঠিত না করে তারা টাকার পিছনে ছুটে। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান তিনিও অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন। আওয়ামী লীগের সাথে ২৬ আসনের ভাগাভাগি নিয়ে নির্বাচনে এলেন। বাড়তি আরও অনেক আসনে জাপার প্রার্থী দিলেন। বাড়তি আসনে তো একজনও জিতে আসতে পারলেন না।
এদিকে সমঝোতার আসন ২৬টির মধ্যে পেলেন ১১টি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করতে নৌকা তুলে নিয়ে সেখানে পিছনে লেগে দেয়া হল আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী। দলীয় কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি তাদের। তাছাড়া আওয়ামী লীগ লাঙ্গলকে সাপোর্ট না করে অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে লাঙ্গলকে পরাজিত করলো। এটা কেমন আসন ভাগাভাগি।
তিনি আরও বলেন, ১১ জন সদস্য নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান কীভাবে সংসদে যোগ দেবেন এটাও দেখার এবং বুঝার বিষয়। এক কথায় একটা বড় হাস্যকর এবং লজ্জাকর ফলাফল জাপার। এভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড চললে দ্রুত সময়ে জাতীয় পার্টি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এটা বুঝা যায় সৈয়দপুর উপজেলা থেকে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available