সিলেট প্রতিনিধি: পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধি প্রতিবাদে তামাবিল স্থলবন্দরসহ সিলেটের সবকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টায় এক মতবিনিময় সভা থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার এই বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসবেন পাথর আমদানিকারকরা। সিলেট বিভাগীয় স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন সমূহের ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশে শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসএসমেন্ট ১২ ডলাররে পরিবর্তে বর্তমান ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহাররে দাবিতে সোমবার থেকে উভয় দেশে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেতে প্রতি টনে ১৩ ডলার অ্যাসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারে দাবিতে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এসএসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সব কটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available