বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে এক যুবক ও এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় পৃথকভাবে দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতরা হলো, উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে মোংলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া মাহমুদা (১৮) ও উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ বালার ছেলে সৌমজিৎ বালা (৩৪)।
রামপাল থানা পুলিশ ও ভিকটিমদের অভিভাবকদের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিংগড়বুনিয়া গ্রামের ইজিবাইক চালক সাইফুল ফকিরের মেয়ে আফিয়া মাহমুদা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে ৯ হাজার টাকা চায়। দরিদ্র পিতা সাইফুলের কাছে টাকা না থাকায় পরে কিনে দেওয়ার কথা বলেন মেয়েকে। এরপর সে অভিমান করে ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় চাঁদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে একই তারিখ বিকেল সাড়ে ৫টায় সৌমজিৎ বালা নামের এক যুবক বড় নবাবপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে সাদা নাইলনের রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তার কাকা ভিকটিম সৌমজিৎ তার কাকি পূর্ণিমা অধিকারী ও তার ছেলে প্রত্তুষকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে বাড়িতে চলে আসে। ওইদিন বিকাল আনুমানিক ৫টায় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডাক চিৎকার করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিকটিমকে ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় নামিয়ে আনলে সৌমজিৎকে তারা মৃত দেখতে পান।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভিকটিম সৌমজিৎ বালা মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েকদিন পূর্বে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছিলো। সে মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না বলে জানান তার ভাইপো বিজন কুমার বালা।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিকটিম সৌমজিৎ বালার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ১০ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় বাগেরহাটের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর ভিকটিম আফিয়ার পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available