সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার আমবাগানসহ ধাপেরহাট এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গুঁড়া হলুদ ও মরিচ তৈরি কারখানা।
এসব কারখানায় ক্ষেতের হলুদের সঙ্গে ভুট্টার ও ধানের কুড়াসহ রং মিশিয়ে মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ। এগুলো প্যাকেট করে পাইকারী দামে বাজারজাতে মেতে ওঠেছে বিশাল একটি চক্র। তারা ভেজাল এই পণ্য বিক্রি করে হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বুনেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সাদু্ল্লাপুর উপজেলার হলুদ ও মরিচ চাষ খ্যাত এলাকা হচ্ছে ধাপেরহাট ইউনিয়ন। এখানকার প্রায় প্রত্যেক কৃষক যুগযুগ ধরে হলুদ-মরিচ আবাদ করে আসছেন। এর ফলে সরকারি প্রকল্প থেকে হলুদ পল্লী এলাকা হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। এরই সুযোগে আমবাগান ও ধাপেরহাটসহ আশপাশ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে মরিচ ও গুঁড়া হলুদ কারখানা। এ কারখানাগুলোতে ভুট্টা গুঁড়া, ধানের কুড়া ও রংসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপকরণ দিয়ে মেশিনে তৈরি করে চলেছে গুঁড়া হলুদ উৎপাদনের মহোৎসব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সোহেল মিয়া কতিপয় লোককে মাসোহারা দিয়ে নির্বিকারে চালিয়ে যাচ্ছে ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ ব্যবসা। এরই ধাবাহিকতায় ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ধাপেরহাটস্থ প্রস্তুতকারক ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
এসময় ভেজাল গুঁড়া হলুদ ও গুঁড়া মরিচ প্রস্তুত করার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ কারখানার মালিক লাবলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল কারবার চালিয়ে আসছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, খাটি গুঁড়া হলুদ ও গুঁড়া মরিচ কেনার আগে অবশ্য সতর্ক হতে হবে। বিশ্বস্ত কোনো কারখানার হলুদ ও মরিচ গুঁড়া কেনার চেষ্টা করতে হবে। তবে যদি বাজার থেকে কাঁচা হলুদ কিনে নিজেই গুঁড়ো বানিয়ে তরকারিতে খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। নচেৎ ভেজাল গুঁড়া হলুদ-মরিচ গুঁড়া খেয়ে শরীরে জটিল-কঠিন রোগ দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ভেজাল খাদ্য পণ্য প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ধাপেরহাটে গুঁড়া হলুদ তৈরি কারখানা সাদিয়া ফুড প্রোডাক্টসকে অর্থদণ্ড করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available