পিরোজপুর প্রতিনিধি: সমন্বিত খামার করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপ্নবাজ যুবক অনিরুজ্জামান অনিক। তিনি কয়েক বছর আগে ২৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন শাক-সবজি, ফুল-ফল চাষের পাশাপাশি ছাগল, হাসঁ-মুরগির খামার গড়ে তুলেন। পাশাপাশি কয়েকটি পুকুরে করেন মাছের চাষ।
এ খামারের উৎপাদিত বেশির ভাগ সবজি বিনামূল্যে বিতরণ করেন গরিব-অসহায় পরিবারের মাঝে। তবে খামারে মাছ-হাঁস-মুরগি-ছাগল থেকে অনিকের বছরে আয় প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।
করোনা মহামারিতে দরিদ্র-দিনমজুর পরিবারে দেখা দিয়েছিলো খাদ্য সংকট। সে সময় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্বাধ্যমত। তখন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পরিবারের সহযোগিতায় বলেশ্বর নদীর তীরে প্রায় ২৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কৃষি কাজে নেমে পড়েন পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক।
এক বছরের মাথায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চাষ করা সকল সবজি বিনামূল্যে তিনি বিতরণ করেন দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে। আস্তে আস্তে তার খামারে শাক-সবজির পাশাপাশি চাষ করা হয় ফল ও ফুলের। সেই সাথে শুরু করেন ছাগল-হাঁস লালন পালন এবং ৪টি পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষও করেন।
এ খামারটি করে শুধু অনিরুজ্জামান অনিক নিজেই সফল হয়ননি, বরং এখানে খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১০ জন শ্রমিকের। এ খামারে কাজ করেই পরিবার চালাচ্ছেন তারা।
খামারটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে। তাই প্রতিদিন এ খামার দেখতে আসেন অনেকে। দেখতে আসা তরুণরাও অনিকের মতো উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
উদ্যোক্তা অনিরুজ্জামান অনিক বলেন, করোনা মহামারির সময় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে কৃষি কাজে নেমে পড়েছিলাম। তবে এখন এই খামারই আমার উপার্জনের মাধ্যম উঠেছে। পাশাপাশি এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available