হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হিলিতে সকাল থেকেই ঝরছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে পথঘাট কিছুই দেখা যাচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছেন না। যারা জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন, তারাও কাজ না পেয়ে অলস সময় পার করছেন।
এদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতলে ভর্তি হচ্ছেন সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
১৪ জানুয়ারি রোববার এলাকাবাসী, রোগীসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ১ সপ্তাহ ধরে হিলিতে রোদের মুখ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে পরদিন বিকেল পর্যন্ত রোদ উঠছে না। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা বয়স্ক মানুষ, তারা শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ি থেকে কাজ ছাড়া বের হচ্ছি না। তিনি সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানান।
হাকিমপুর হাসপাতালে ভর্তি রফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী বলেন, ১৩ জানুয়ারি শনিবার বিকেল থেকে শীতের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছি।
আরেক রোগী মোছা. কুলসুমা বেগম বলেন, শীতের কারণে গলা ব্যাথা করছে। শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসকরা ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
রোববার দুপুরে কথা হয় হিলি বাজার সিপি রোর্ডের এলএসডি গোডাউন মোড়ে বসা কামার কৃষ্ণ কর্মকারের সাথে। তিনি বলেন, টানা কয়েক দিন ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কিন্ত কি করব পেট তো আর মানে না। তাই আজ কাজ করার জন্য হিলি বাজারে আসছি। সকাল থেকে বসে থাকার পর দুপুরে দু’টি বটির কাজ পেয়েছি। দুটি বটির কাজ করে ১০০ টাকা পেয়েছি। কয়েক দিন থেকে তেমন কাজ নেই। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কাজ করি। আজ একেবারে কাজ নেই। এই ১০০ টাকা দিয়ে কি নিবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মশিউর রহমান জানান, এই সময়টায় অতিরিক্ত শীতের কারণে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাই সকলকে সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের ওষুধসহ সবধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, হাকিমপুর উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নে ২ হাজারেরও বেশি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আরও শীতবস্ত্রের জন্য জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আসলে শীর্তাত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available