খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে চলছে পেঁয়াজ লাগানোর উৎসব। গেলো বছরে ভেজাল বীজের কারণে রোপণের কিছু দিন পর মারা যেতে থাকে চারা। সে জন্য ফলনও কম পান চাষিরা। তবে অসময়ে চড়াদামে বাজারে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। সেজন্য লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও লাভের মুখ দেখবেন পেঁয়াজ চাষিরা। এবার খোকসায় পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
উপজেলার ফসলের মাঠগুলোতে এখন চলছে পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম। শ্রমিক সংকটের কারণে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন বয়সের কৃষক এবং তাদের পরিবারের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চারা রোপণ করছেন।
জানিপুর ইউনিয়নের ইচলাট গ্রামের কৃষক কাজল ঘোষ জানান, এবার চার বিঘা জমিতে চারা রোপণ করছেন। বিঘাপ্রতি খরচ পড়ছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ ফলনের প্রত্যাশা তার।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রাম গ্রামের কৃষক টুটুল হোসেন জানান, ভরা মৌসুমে কৃষকরা লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করে হতাশ হয়েছিলেন। শেষ সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা মণ। তবে অসময়ে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের আবাদ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি। তবে এবার পেঁয়াজ আবাদে গত বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি খরচ পড়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিরিক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।
তবে পেঁয়াজ চাষিদের লাভবান করতে সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে সুষম বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানান পেঁয়াজ চাষিরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available