হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রায় দুইশত বছর পূর্বে মৌলভীবাজারের শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর তীরে শুরু হয়েছিল মাছের মেলা। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও এ অঞ্চলের মানুষ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আর তাই প্রতি বছর বাংলা সনের পৌষ মাসের শেষ দিনে কুশিয়ারার তীরে বসে এই মাছের মেলা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বসছে মাছের মেলা। বিভিন্ন আড়তদাররা নিয়ে এসেছেন বড় বড় মাছ। সংক্রান্তিকে ঘিরে শুরু হওয়া শেরপুর মাছের মেলা পুরোপুরি জমে উঠেছে গত শনিবার বিকেল থেকে। মাছের মেলাটি এখন সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়ে আগে-পিছে তিনদিন বর্ধিত হয়েছে।
মেলাস্থল শেরপুর হলো মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার একেবারে শেষভাগে। পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার উত্তরে কুশিয়ারা নদী। নদী পাড় হলেই সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলা শুরু। হবিগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজার এই তিনটি জেলার মোহনা হচ্ছে শেরপুর। মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা এটি।
আগে এই মাছের মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন হাওর-বাওরের, নদ-নদীর মাছ নিয়ে আসতো জেলেরা। এখন মৎস্য খামারগুলোর মাছতো আসেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিরাট বিরাট চালান আসছে এখানে।
সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সুরমা নদী, মনু নদী, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, মকার হাওর, হাইল হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, আইড়, ইলিশসহ বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে আসেন। মাছের মেলায় পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের কমে চাহিদার মাছ কেনা যায় না। কারণ মাছের মেলা বলে কথা। বড় ব্যবসায়ীরা সপ্তাহখানেক পূর্বে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দাম ও হাঁকা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আড়ত থেকে ছোট বড় অনেক জাতের মাছ নিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন।
মেলায় ছোট আকারের মাছের দাম হাকানো হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের মাছের দাম হাঁকানো হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বড় সাইজের মাছের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও হাঁকানো হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available