লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: ঋণের দেনা পরিষদ ও স্ত্রী ছেলে সন্তানের ভরণপোষণ বহন করতে অপারগ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছিলো শওকত হোসেন নামে এক যুবক।
শওকত রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যদম ইউনিয়নের চাইল্যাতলী এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৪ জানুয়ারি রাতে নিজের ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে অঙ্গীকার নামা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে প্রকাশ করে। তিনি তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগীতা না পেয়ে দুঃখে কষ্টে দিন অতিবাহিত করার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।
এমন মর্মান্তিক ঘটনার ফেসবুক পোস্ট লংগদু থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদের নজরে আসলে তিনি বিষয়টি রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহীদ বিপি এম বারকে অবগত করেন। পুলিশ সুপার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে শওকতকে বেঁচে থাকার জন্য আশ্বাস্ত করেন।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ নগদ ৪০ হাজার টাকা শওকত হোসেন ও তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এসময় ভাসান্যদম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের এমন মানিবিক কর্মকান্ডে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শওকত বলেন, আমি ঋণের বোঝায় দিশে হারা হয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করি। আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে ওসি স্যার আমাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে আমাকে বুকে টেনে নিয়ে আমাকে নানা বিষয়ে বুঝায়। আমিও অঙ্গীকার করেছি আর জীবনে এমন সিদ্ধান্ত নিবো না। শওকত লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ও রাঙামাটি পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা জনগরণর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তার ফেসবুক পোস্টটি আমার নজরে আসলে আমি আমার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি আন্তরিক হয়ে আমার মাধ্যমে শওকতকে নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available