জয়পুরহাট প্রতিনিধি: প্রকৃতি এখন শীতের বার্তা দিচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢেকে যাচ্ছে ঘন কুয়াশায়। কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া। এক সাথে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া থেকে সৃষ্ট কনকনে শীতে কাবু মানুষ ও প্রাণীকূল। সেইসাথে শীতে হাসপাতালে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন শিশুসহ শতাধিক রোগী। তবে, হাসাপাতালে ডায়রিয়া স্যালাইন সংকটের কারণে বিপাকে পড়ছেন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। খোলা বাজারে ডায়রিয়ার স্যালাইন কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন শিশুসহ শতাধিক রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশু রয়েছে ৩৭ জন ও পাঁচ বছর থেকে সব বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছেন ৬০ জন।
হাসপাতালের সেবিকারা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য স্যালাইন সরবরাহ নেই। এছাড়া ডায়রিয়া রোগীদের বোমোনের ইঞ্জেকশন ও শিশুদের ফোঁড়ানো ক্যানেলারও সংকট আছে।
বাইরেও প্রয়োজনের তুলনায় কম স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। ঘুরে ফিরে স্যালাইন পাওয়া গেলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে দোকান থেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক ঔষধ বিক্রেতা জানান, কিছুদিন আগে যখন স্যালাইনের সংকট ছিল তখন এসব স্যালাইন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যেও বিক্রি হয়েছে। প্রায় প্রায় স্যালাইনের সংকট হলেই এমন দাম বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. সোলাইমান হোসেন মেহেদী বলেন, আমাদের হাসপাতালে কিছুটা সংকট রয়েছে। যদি জরুরি বিভাগে এক সঙ্গে বেশি পরিমাণে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় সেক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে।
আপদকালীন সময়ের জন্য হাসপাতালে যে পরিমাণে স্যালাইন মজুত থাকার কথা সেটি নেই। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেই রোগীদের সেবা প্রদান করছি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available