স্টাফ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ১০৯ নং জোনালঙ্ক মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের সরকারি জমিতে রাতের আঁধারে আধা পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার ইলিয়াস দাই’র বিরুদ্ধে।
স্থানীয় শাওন সর্দারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থলে খাস খতিয়ানের জায়গায় সদ্য নির্মিত আধাপাকা ভবন দেখা যায়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১নং খাস খতিয়ান সংলগ্ন জায়গাটির মালিক মৃত পুলিশ সদস্য সিদ্দিক সরদার। প্রায় ২৫ বছর আগে জায়গাটি তিনি বাড়ি করার জন্য ক্রয় করেছিলেন। তবে চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যাওয়ায় আর বাড়ি করা হয়ে উঠেনি।
ওয়ারিশ সূত্রে তার স্ত্রী ও রেখে যাওয়া দুই সন্তান তার জায়গাটির সামনে থাকা খাস খতিয়ানের এই জায়গাটি প্রায় দুই যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে হঠাৎ করেই সিদ্দিক সরকারের আপন ভাই স্ট্রোক করলে তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যায়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমতাবস্থায় রাতের অন্ধকারে ওই একই এলাকার মৃত লাল মিয়া দাই এর ছেলে ইলিয়াস দাই অন্যায়ভাবে সিদ্দিক সরদারের জায়গায় সংলগ্ন খাস খতিয়ানের জায়গাটায় আধা পাকা ভবন নির্মাণ করেন।
এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, ১নং খাস খতিয়ানের এই জায়গাটা সিদ্দিক সরদারের ক্রয়কৃত জায়গা সংলগ্ন হওয়ায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তারাই ভোগ দখল করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস দাই এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে আমাদেরও জায়গা আছে। জেলা প্রশাসক অনেকবার লিখিতভাবে বললেও মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসক জায়গাটি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এজন্যই আমরা বাধ্য হয়ে ঘর নির্মাণ করেছি।
এ বিষয়ে বাটিকামারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কর্তৃপক্ষ সার্ভেয়ার পাঠিয়েছেন। ওই জায়গাটি পরিমাপ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available