নিজস্ব প্রতিবেদক: দিন দিন শীতের প্রকোপ যেন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছেই। এবারের মাঘের শীতে কাঁপছে সারা দেশ। হাড় কাঁপানো এ শীতে প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের অবস্থা ঝড় থর। এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি।
এছাড়া মেহেরপুর ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সন্ধ্যার পরই নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। এছাড়া দেশের ২২ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। তারা জানান, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-সিরাজগঞ্জে মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য সূত্রে জানা যায়, দেশের ভেতরে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পুরো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায়। এর পাশাপাশি একই ধরণের আবহাওয়া বিরাজ করছে আরও ছয় জেলা যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জে। শৈত্যপ্রবাহ আজও থাকবে এবং তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। তবে আজ রাতের দিকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আরও জানায়, সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছী ও দিনাজপুরে। এই দুই জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা (সর্বনিম্ন) ছিল টাঙ্গাইল; নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।
এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জের নিকলী, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে এমন খবর জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। এর বাইরে দেশের অন্য অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তিনি জানান, বৃষ্টির সময় শীতের তীব্রতা কমে আসবে। তবে বৃষ্টি ও মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আবার বাড়বে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available