রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: নুরুল ইসলামের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মেজো সন্তান আলিফা (১৪)। তাদের সুখের সংসার ঠিকঠাক মতো চলছিল। হঠাৎ সুখের সংসারে নেমে এলো কালো মেঘ। দুই মাস আগে আলিফার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। প্রবাস ফেরত বেকার বাবার মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কোনো টাকা পয়সা হাতে নেই। মাথায় আনেন একমাত্র সহায় সম্বল জায়গা বিক্রি করে মেয়ে সন্তানের চিকিৎসা করাবেন। দুই মাস ধরে ভারত ও দেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে জায়গা বিক্রির ১০ থেকে ১২ লাখ খরচ হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলামের।
তিনি বলেন, হাতে এখন আর টাকা-পয়সা নেই। চিকিৎসা তো দূরে থাক, সংসার চালানোও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ের শারিরীক অবস্থাও ভালো না। চট্টগ্রামের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা চলছে। ভারতে চিকিৎসক জানিয়েছেন আলিফাকে বাঁচাতে দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। প্রয়োজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সঞ্চয় ও একমাত্র সহায় সম্বল জমি বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে আলিফা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনসুর আলমের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাঙ্গুনিয়া পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী আলিফা। বড় ভাই ১০ম শ্রেণিতে ও ছোট ভাইা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
বাবার আকুতি মেয়েকে বাঁচাতেই হবে। সবার আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মো. নুরুল ইসলামের গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক এম মোরশেদ আলম বলেন, আলিফার বাবা নুরুল ইসলাম ২০১৯ সালে করোনাকালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে আসলে নানা জটিলতার কারণে আর বিদেশে যেতে পারেননি। এতদিন নিজের সঞ্চয় ভেঙ্গে সংসার চালাচ্ছিলেন। বেকার জীবনে এখন আরেকটি বিপদ নেমে আসে তার।
তিনি আরও বলেন, আলিফার চিকিৎসায় আত্মী-স্বজনসহ অনেকে হাত বাড়িয়েছেন। দুরারোগ্য এই জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার এখন নিঃস্ব।
পরিবারে তথ্য মতে, এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার পেছনে এ পর্যন্ত তার পরিবার ও বিভিন্নভাবে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এমনকি চিকিৎসার জন্যে তাদের জায়গা-জমি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, আলিফার লিভার প্রতিস্থাপন করাতে হলে কমপক্ষে ৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
মরিয়মনগর ইউপি সদস্য (ইউনিয়ন পরিষদ) মুজিবুল হক হিরু বলেন, সকলে মিলে সহায়তা করলে একটি নিঃস্ব পরিবারের মাঝে আবার আশার আলো সঞ্চারিত হবে। মা-বাবা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাবে তাদের প্রিয় আদরের কন্যাকে। প্রয়োজন সবার আর্থিক সহযোগিতা দরকার।
চিকিৎসা সহায়তায় যোগাযোগ করতে পারেন- ০১৮৮৩৫৬৩৩৪৭, ০১৮৪৬৬২৩৩৩৬, বিকাশ, নগদ, রকেট- মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম (আলিফার বাবা)
ব্যাংক একাউন্ট নং-৭৮০১০১১২৪০৯০, পূবালী ব্যাংক, রাঙ্গুনিয়া শাখা।
ব্যাংক একাউন্ট নং-০৭৭৩৪০০১০৯১, ব্যাংক এশিয়া, লিচুবাগান চন্দ্রঘোনা ব্রাঞ্চ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available