নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় মজুত বিরোধী অভিযানে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ধান ও চালের মজুত রাখায় ১০ জন ব্যবসায়ির ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে আগামী ৭দিনের মধ্যে মজুতকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাত করণের মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
২২ জানুয়ারি সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের মিড়িয়া সেলে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, অভিযানে ধান ও চালের দাম কমার প্রভাব পড়েছে। সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্ণা ৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া।
২২ জানুয়ারি সোমবার জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী সেতু এবং ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানা করেন।
জানা গেছে, জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মণ ধান মজুদ করায় জাহাঙ্গীর শেখ নামক এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা এবং নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মণ ধান অবৈধভাবে মজুদ করায় রুহুল আমিন নামক এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন ধান মজুদের দায়ে দুই জন ব্যবসায়িকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধামইরহাট উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন ধান মজুদের দায়ে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ১৯ ধারায় দুই জনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
এছাড়া সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুদ রাখা ও লাইসেন্স বিহীন রাইস মিল পরিচালনায় চারজন মিল মালিককে ৪টি মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একইসাথে ৭ দিনের মধ্যে সকল মালিককে মজুদকৃত সকল ধান ও চাল বাজারজাত করণের মুচলেকা নেয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available