নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় এতিমখানা মাদ্রাসায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবির সময় ৪ জন ভুয়া সাংবাদিককে আটক করছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ। তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময় খাজুরা গৌরীপুর নূরানী এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১২টার দিকে উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসায় আবারও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান ও সভাপতির কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একটি লাল রঙয়ের এক্স ফিল্ডার প্রাইভেট কার, একটি ক্যানন ডিএসআরএল ক্যামেরা, একটি টাইপট, একটি বুম এবং বিভিন্ন পত্রিকার আইডিকার্ডসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলো, গাজিপুরের মো. সাঈদ সরকারের ছেলে মো. হেলাল সরকার জয় (২৮), ময়মনসিংহের মো. ইমান আলীর ছেলে মো. লিমন হোসেন (২৭), বগুড়ার মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী (২৭) ও শেরপুরের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে শিহাব মিয়া (২৫)।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের নামে নলডাঙ্গায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, তারা এর আগেও সাবেক সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করে টাকা নিতো। আমি দায়িত্ব পাবার পরে আমার কাছে আবার টাকা চায়। তখন আমি সভাপতির কাছে পাঠাই, এলাকার মানুষ তাদেরকে ভুয়া সনাক্ত করে পুলিশের হাতে সৌপর্দ করে।
খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, গৌরীপুর নূরানী এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে তারা চাঁদা দাবি করলে গ্রামবাসী তাদেরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ারুজ্জামান বলেন, একটি লাল প্রাইভেটকার নিয়ে ৪ জন ব্যক্তি খাজুরা ইউনিয়নের একটি এতিমখানা-মাদ্রাসায় যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করে। তখন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পুলিশে খবর দেয় এবং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আজ ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হবে ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available