স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ২২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানের সঞ্চালন্য় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার হামিদুল হক খান, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাসুম ইকবাল, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. লিজা শারমিন, ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য ড. ইমরান হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নাদির বিন আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, কেক কাটা, মানব লোগো তৈরি, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সঙয়ের নৃত্যনাট্য পরিবেশনা।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্নিল সাজে। শীতের প্রচন্ড কুয়াশা উপেক্ষা করে ২২ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা বর্ণিলসাজে সজ্জিত হয়ে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে মিলিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমাগত উন্নয়নের ধারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়টি শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালন করবে, সেদিন সারা পৃথিবীতে সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্থান করে নিবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইতোমধ্যে গবেষণায় ভাল করেছে। এই গবেষণায় আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। আমরা এমন গবেষণা চাই, যে গবেষণা করে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে পারবে। এমন গবেষণা চাই, যে গবেষণা করে তোমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায় এবং অর্থনৈতিকভাবে তোমাদের সমৃদ্ধশালী করা যায়। আমরা এমন গবেষণা চাই না, যে গবেষণা শুধু পত্রিকার পাতায় বা বইয়ের পাতায় বা একটি পাবলিকেশনে সীমাবদ্ধ থাকবে। আমরা রাইট গবেষণাগুলো দেখতে চাই।
তিনি আবারো বিশ্ববিধ্যালয়কে সম্পূর্ণ র্যাগিংমুক্ত ঘোষণা করে বলেন, যে শিক্ষার্থীরা ড্রপ লগ হয়ে বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে অন্য শিক্ষার্থীদের মিসগাইড করবে, এমন শিক্ষার্থী আমরা চাই না। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই, যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তোমাদের বাবা-মা তোমাদেরকে আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে; তা আমরা অক্ষুন্ন রাখতে চাই। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা বাংলাদেশে একটি চমৎকার পরিবার, চমৎকার বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়ে প্রমান করবে আগামীতে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ মাথা উচুঁ করে দাড়াবে। ইনশাল্লাহ আমাদের দেশে কোন বেকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ইন্সুরেন্স সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আর এসব কারণে ড্যাফোডিল একদিন বাংলাদেশে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা চাকরি খুঁজবে না, তারা চাকরি দেবে। সেই লক্ষেই এ বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউ এস র্যাংকিং, ইউ আই গ্রিন ম্যাট্রিক র্যাংকিংসহ সমসাময়িক র্যাংকিং সাফল্যের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available