বাগেরহাট প্রতিনিধি: আসছে ২৮ জানুয়ারি রবিবার থেকে বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে গোলপাতা সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে বাওয়ালিরা। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলবে গোলপাতা সংগ্রহের মৌসুম।
এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েই গোলপাতা সংগ্রহের জন্য বনে রওনা করবেন মোংলার দক্ষিণ চরের বাসিন্দা বাওয়ালি মোজাম্মেল হাওলাদার। তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরেই সুন্দরবন থেকে গোলপাতা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মোংলার জয়মনি চরকানা এলাকার বাওয়ালি বিপ্লব মজুমদার বলেন, এখন প্রতিবছর গোলপাতা আহরণের আগে নৌকা মেরামত করা লাগে। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতেও কষ্ট হয়। গোলপাতা আগের মত আর চলে না। ভালো দাম পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, গোলপাতা আহরণের নৌকাগুলো অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। এ কারণে গোলপাতার মৌসুম শেষ হলে নৌকাগুলো নদীর চরে ফেলে রাখতে হয়।
এ বিষয়ে খুচরা গোলপাতা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও মোকশাদুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, বর্তমানে গোলপাতার আগের মতো আর চাহিদা নেই। বিক্রি কম হওয়ায় অনেকের আড়তে রয়ে গেছে গতবারের পুরনো গোলপাতা। তাছাড়া গোলপাতায় ঠিক যে পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেন সে তুলনায় লাভ অনেক কম।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতার কূপ রয়েছে। একটি হলো শ্যালা গোলপাতা কূপ অপরটি চাঁদপাই গোলপাতা কূপ। বাওয়ালিরা সুন্দরবনে যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বনবিভাগ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জ গোলপাতা আহরণ কূপ (জোন) কর্মকর্তা মো. তানজিলুর রহমান বলেন, গত বছর ২০০টি নৌকা নিয়ে হাজারখানেক বাওয়ালি সুন্দরবনে ঢুকেছিলেন। এতে ৩৭ হাজার ৬০ কুইন্টাল গোলপাতা কর্তনে ভ্যাটসহ রাজস্ব আদায় হয় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা এ বছরও তেমনটাই হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available