মাসুম লুমেন, স্টাফ রিপোর্টার (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধায় পারিবারিকভাবে বিয়ের আট বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। ন্যায় বিচার পেতে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা অধিদপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাঘোয়া ইউনিয়নে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রেবেকা সুলতানা মনি ও আনিছুর রহমানের। বিয়ের দু'বছরের মাথায় পুলিশে চাকরি হয় স্বামী আনিছুরের। এসময় পরকিয়ায় জড়িয়ে অন্য এক নারীকে গোপনে বিয়ে করেন আনিছুর। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রী মনি রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে চাকরিচ্যুত হন অভিযুক্ত আনিছুর। এরপর থেকেই স্ত্রী মনির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন স্বামী আনিছুর। বর্তমানে গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন আনিছুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, চাকরির সময় আনিছুরকে জমি বিক্রি করে ট্রেনিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা দেয় করে স্ত্রী রেবেকা সুলতানা মনির পরিবার। কিন্তু চাকরি পেয়েই অন্য এক নারীকে বিয়ে করে স্ত্রীর ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন স্বামী আনিছুর।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন আনিছুর এবং মনির বিয়ে রেজিস্ট্রি করা মো: মালেক কাজী। স্ত্রীকে অস্বীকার বা ভরণপোষণ না দিলে জেল জরিমানাও হতে পারে বলে জানালেন তিনি।
এদিকে দীর্ঘ আট বছর ভরণপোষণ বা স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়ায়, একদিকে লজ্জা, অন্যদিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে ভুক্তভোগী ওই নারীকে। স্বামীর স্বীকৃতি না পেলেও উপযুক্ত বিচার দাবি করেন স্ত্রী রেবেকা সুলতানা মনি।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে রেবেকা সুলতানা মনিকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষক আনিছুর রহমান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available