কক্সবাজার প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে জলদস্যু সর্দার বাদশাহ ও তার পাঁচ সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২৬ জানুয়ারি শুক্রবার কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মাছ এবং জালও উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জেলেদের আহরিত মাছ, ট্রলারে ডাকাতি ও জান-মালের ক্ষতি করে আসছিল কতিপয় জলদস্যু সিন্ডিকেট। অসহায় জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জলদস্যুদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়।
দীর্ঘ তিন দিনের অভিযান ও নজরদারি শেষে ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মহেশাখালী এবং বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে জেলেদের লুণ্ঠন করা প্রায় ৬-৭ হাজার কেজি মাছ, জাল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি ধারালো অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মোবাইলসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার জলদস্যুরা হলেন, কুতুবদিয়া লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মো. বাদশা, একই ইউনিয়নের মুসালিয়া শিকদার পাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম, একই উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেখা বিবির পাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন, সাহারুম শিকদার পাড়ার মো. ইউনুসের ছেলে মো. রাফি, পেচারপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকলতলার (সেইলর কলোনী) আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আরও বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available