রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার নজরেরটিলা ধাতুরত্ন বৌদ্ধ বিহারে দুই শতবর্ষী বাৎসরিক সংঘদান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার মরিয়ম নগর ইউনিয়নে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
ধর্মীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাস্থবির। দায়ক প্রবীর মুৎসুদ্দী জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিহারের অধ্যক্ষ সত্যানন্দ স্থবির, বিহারের উপাসক অমিয় কান্তি মুৎসুদ্দী নিদান, রিপন মুৎসুদ্দী, কনিস্ক মুৎসুদ্দী।
পরে দুপুরে রাঙ্গুনিয়ার দুটি বৌদ্ধ বিহারের অনাথালয়ে শতাধিক অনাথ শিশুকে খাবার ও কম্বল বিতরণ করেন তারা।
গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা জানান, প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে তিরতন শরণ মুৎসুদ্দী প্রকাশ বুড়া মুৎসুদ্দীর জন্ম হয়। তিনি নিজ গুণাবলীর গুণে নবাব আলী বর্দী খাঁর আমলের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব সামাল দিতেন। তার বিচক্ষণতা এবং সততা দেখে তৎকালীন রাজা রাজ বল্লভ তাকে মুৎসুদ্দী উপাধি দেন এবং প্রচুর সম্পত্তি দান করেন। এরপর তিনি তার নিজ গ্রামে এসে রাঙ্গুনিয়ার ৫টি গ্রামে ৫টি মন্দির তৈরির জন্য জায়গা দান করেন। পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য কবরস্থানের জায়গা দান করেন। গ্রামের জেলে ও ধোপা সম্প্রদায়কে জায়গা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
বয়োবৃদ্ধরা আরও জানান, উপমহাদেশে তুলাপুরুষ দান করে তিনি এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তুলাপুরুষ মানে নিজে তুলায় (পাল্লা) এক দণ্ডে দাড়িয়ে পাল্লায় সোনা, রুপা ও মুদ্রা মেপে দান করার কারণে তুলা পুরুষ উপাধি পান তিনি। বংশপরম্পরায় নজরেরটিলা গ্রামে তার উত্তরসূরিগণ মুৎসুদ্দী উপাধি ব্যবহার করে আসছে। তার স্মরণে গ্রামে মুৎসুদ্দী পাড়া সড়ক নামে একটি রাস্তা রয়েছে।
২০০ বছরের অধিক তার স্মরণে বাৎসরিক সংঘদানের আয়োজন করে আসছে গ্রামবাসীরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available