• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০১:৫৫:২৬ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০১:৫৫:২৬ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের স্বাক্ষী রাজারাম মন্দির

২৯ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ১১:৩৫:৪৮

জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের স্বাক্ষী রাজারাম মন্দির

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের প্রাচীন ভাস্কর্য শিল্পের নিদর্শন খালিয়া রাজারাম মন্দিরটি। মহাকালকে উপেক্ষা করে আজও মন্দিরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। আর এটিই মাদারীপুর জেলার একমাত্র প্রাচীন মন্দির, যা তৎকালীন জমিদার কালী সাধক রাজারাম রায় চৌধুরী নির্মাণ করেছিলেন। এলাকাবাসীর কাছে বর্তমানে এটি রাজা রামের মন্দির হিসেবেই পরিচিত।

রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের কাছে খালিয়া শান্তি কেন্দ্রের ভেতরেই অবস্থিত এই মন্দিরটি। কোনো রাস্তাঘাট না থাকায় সহজে মন্দিরের পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়।

চলাচলের রাস্তা না থাকায় বসত বাড়ি আর বাঁশঝাড়ের মধ্য দিয়ে মন্দিরটির কাছে গিয়ে দেখা গেছে, এর নির্মাণ শৈলী বেশ চমৎকার। তৎকালীন জমিদার রাজারাম নিজে পূজা অর্চনা করার জন্য মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয় রামায়ণ মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্য। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পশুপাখি, ফুল-লতা-পাতা, দেব-দেবীর ছবি। দুই তলা বিশিষ্ট মন্দিরটি দেখতে চৌচালা ঘরের মতো, যার মধ্যে ৬টি কক্ষ রয়েছে।

২৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মন্দিরের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট, প্রস্থ ১৬ ফুট এবং উচ্চতা ৪৭ ফুট। মন্দিরটি সর্বত্র দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ হাতের কারুকাজের ছাপ স্পষ্ট, যা শত শত বছর পরও মানুষের মন কাড়ে।  

২৯ জানুয়ারি সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মন্দিরটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করলেও কোনো উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মন্দিরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়ালে ঝুলছে বট গাছ, শেওলা জমে আছে চারদিকে। কোথাও চুন সুরকি খসে পড়ছে। উপরের তলায় ভেতরের দিকে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কাও আছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি মন্দিরটি দেখাশোনার জন্য জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সুশীল নামে এক কর্মচারীকে নিয়োগ করেছেন। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ তাই মাঝে মধ্যে তার ছেলে সজীব এসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। অনেকদিন যাবত তাকেও দেখা যাচ্ছে না। মন্দিরের গেটে নেই কোনো তালা, সব সময় উন্মুক্ত থাকার সুযোগে মাদক সেবনকারীদের আস্থানায় পরিণত হয়েছে মন্দিরটি।  

এছাড়াও কিছুদিন আগে মন্দিরে যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা তৈরির প্রস্তাব পাস করা হলেও অজ্ঞাত কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





সুন্দরগঞ্জে ৬ পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
২৩ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:২৬:২২


বেঁচে ফির‌ব ব‌লে আশা ক‌রিনি: ওমর সা‌নিয়াত
২৩ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪:৫৯