রাজশাহী ব্যুরো: পারিবারিক কলহের জেরে রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীর হাতে প্রাণ হারালেন স্ত্রী। ২৮ জানুয়ারি রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ঝরনা আক্তার লিপি (২২)। সে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বজরুখকৌড় গ্রামের আলীমুদ্দিনের কন্যা।
খবর পয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এরশাদ আলী।
এ ঘটনায় থানার মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সাত বছর পূর্বে বাগমারা গ্রামের মৃত উচমান আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের (২৮) সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় ঝরনা আক্তার লিপির। বিয়ের পরে তাদের ঘরে একটি সন্তান আসে।
বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ঝরনা আক্তার লিপিকে নানা ওজুহাতে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সপ্তাহ পূর্বে ঝরনা আক্তার লিপি তার বাবার বাড়ি বজরুখকৌড় গ্রামে চলে যান। পরে স্বামীসহ তার প্রতিবেশীরা আর নির্যাতন করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারো স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রোববার গভীর রাতে স্বামী রুবেল হোসেন স্ত্রী ঝরনা আক্তার লিপিকে লোহার শাপল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে স্ত্রী ঝরনার চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে রুবেল হোসেন পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ঝরনা আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহত ঝরনা আক্তার লিপির মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available