মাসুদ রানা, বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে এই প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ শুরু হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি পল্লী গ্রিন হাউজের মাধ্যমে চলছে চাষাবাদ। ফলনও এসেছে ভাল। নানা ভিটামিনে ভরা এই সবজির চাষ এলাকায় কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ নাইটশেড পরিবারের একটি ফুলেল উদ্ভিদ। ম্যাক্সিকো, তুরস্ক, ইন্দোনেমিয়া ও স্পেনে এটির আবাদ বেশি হয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবাদ হচ্ছে ক্যাপসিকামের।
বাসাইল উপজেলার জসিহাটি বাজারের পশ্চিমপাশে ৪০ শতাংশ জমিতে পল্লী গ্রিন হাউজ নির্মাণ করে সেখানে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আজহুরুল ইসলাম তালুকদার। গত বছর প্রথম ক্যাপসিকাম আসে তার বাগানে। আবাদের কৌশল না জানা ও উপরে সেড না থাকায় বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয় হয়। মাত্র ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়। এবার পুরো এলাকা সেড দিয়ে ঢাকা থাকার কারণে আশাতীত ফলন এসেছে। বাজার ভাল থাকলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা উদ্যোক্তার।
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন তার বাগান দেখতে। অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন ক্যাপসিকামের বাগান করতে।
বাসাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার, কীটনাশকসহ পরিমিত বালাইনাশক প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যাসহ নানা রোগের মহাওষুধ এই ক্যাপসিকাম। এর আবাদ বাড়ানো গেলে একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হবে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available