কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘোনো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিনজনকে আটক করে। এ ঘটনা উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর সার্কিট হাউসের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের পরপরই আমরা তিনজনকে আটক করেছি। কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে।’
এই ঘটনায় আটক হওয়া তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এই গ্রুপ দুইটির নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় একটি ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় কুমিল্লার সার্কিট সউজ মোড়ে প্রকাশ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুই গ্রুপে অন্তত একশ জন্য কিশোর অস্ত্র প্রদর্শন ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বেশ কয়েকজনের হাতে রাম দা দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে।
কয়েজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে আধিপত্য নিয়ে কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা মামুন মিয়া বলেন, দুই শতাধিক ছেলে বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে কান্দিরপাড় সড়কের দিকে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, পুলিশ বক্সের সামনে আরেকটি গ্রুপ এসে প্রায় বিশটি ককলেট বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে দুই গ্রুপ একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। সবার হাতে দেশি অস্ত্র ছিল। পুলিশ আসলে সবাই পালিয়ে যায়।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ শিক্ষক শামীম আহমেদ বলেন, পুলিশ বক্সের সামনে ঘটনা ঘটলো, অথচ কোনো পুলিশ সদস্যকে আমরা এগিয়ে আসতে দেখিনি। কিছুদিন পর পর এ ধরনের ঘটনা ঘটে। অথচ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করা হয় না।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available