স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া: নিখোঁজের ২ দিন পর কুষ্টিয়ার হরিপুর পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোসেন (২৭) নামের এক তরুণের ৯ খণ্ডে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতভর অভিযান চালায় পুলিশ। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৮টার দিকে ৬টি জায়গায় পুঁতে রাখা মিলেনের দেহের ৯টি অংশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মিলনের ৫ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের নিয়ে রাতভর পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালায় পুলিশ।
জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরচর এলাকার মওলা বক্সের ছেলে মিলন হোসেন। কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন তিনি। বিষয়টি জানার পর মিলনের বন্ধু ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতা এসকে সজিব ও তার কয়েকজন সহযোগি বুধবার সকালে তাকে হাউজিংয়ের একটি ৬ তলা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মিলনের কাছে মোটা অংকের টাকার দাবি করেন তারা।
মিলন টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিলনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার জন্য হেচকা ব্লেড দিয়ে মিলনের মরদেহ ৯ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মিলনের স্ত্রী মিমো খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে। তার জের ধরে পুলিশ সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে আটকরা।
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানায়, স্বীকারোক্তির পর রাত ১২টা থেকে আটকদের সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতভর খুঁজে না পেলেও সকাল ৮টার দিকে আটকদের দেখানো ৬টি জায়গা থেকে মিলনের দেহের পৃথক ৯টি দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়।
এই ধরনের ভয়াভয় ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘাতকদের ফাঁসির দাবি করেন মিলনের স্বজন এবং স্থানীয়রা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available