কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বারে ব্যবসায়ী মুসা আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গত ৩১ জানুয়ারি বুধবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম মো. মুসা আলী (৪০) খুন হন। এ ঘটনা জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিকটিমের শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন তুলাগাও এলাকায় হওয়ায় তিনি প্রায়ই সেখানে আসা-যাওয়া করতেন। এরই সূত্র ধরে আসামিদের সাথে ভিকটিম মুসা আলী (৪০) এর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতার আসামিদ্বয় আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে। পরে ভিকটিমের স্ত্রীর নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ভিকটিমের স্ত্রী আসামিদের দাবি করা ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা পুরো টাকা না পেয়ে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের পায়ে, হাতে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন পশ্চিম বাগুর এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার থানাধীন মেডিনোভা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতারের র্যাব-১১ এর একটি দল ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন বাসস্ট্যান্ড ও কোতয়ালী মডেল থানাধীন বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালিয়ে র্যাব কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম লিমন (৩০) এবং দেবিদ্বার থানাধীন বাগুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সবুজ সরকার (২৭)কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available