ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড়, জামতলি রেল ক্রসিং এলাকায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি পুকুর থেকে অপরিকল্পিত ও বে-আইনিভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুকুরের চারপাশের পাহাড় কেটে ভূমি সমতল ও পুকুর খনন করে শত শত ট্রাক্টর যোগে বালু উত্তোলন করেন পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এসব বালু উত্তোলন করায় বর্ষাকালে পুকুরে প্রচুর পানি জমে পুকুর পাড় ভেঙ্গে গিয়ে পীরগঞ্জ ও পঞ্চগড়গামী রেলপথ ও যৌদ্দপীড় কবরস্থান ধ্বসে পুকুরে পড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
এছাড়া পুকুরের দক্ষিণ পাশের সরকারি পাঁকা সড়কেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারা-৪-(খ) মোতাবেক সেতু, কালর্ভাট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার ১ কিলোমিটারের মধ্যে মাটি উত্তোলন করা আইনে নিষিদ্ধ রয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় কর্মরত) শাহরিয়ার নজির তিনি ও তার জনবল বে-আইনি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণের জন্যে ওই পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রায় ১০ ভাগ বালু সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়। ৯০ শতাংশ বালু ট্রাক্টর চালকদের মাধ্যমে অন্যত্রে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে পকেট ভারি করেছেন তারা। আইনের মানুষ বে-আইনি কাজ করে পার পেয়ে গেছেন। ওই পুকুর থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি উত্তোলন করে রেলপথ, কবরস্থান, পাঁকা সড়ক ও ভেলাতৈড় জামতলি উচ্চ বিদ্যালয়কে হুমকির মুখে ফেলে তিনি নজির সৃষ্টি করেছেন। বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে, তাদেরকে জেল হাজতে আটক রাখার ভয় দেখিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বালু উত্তোলন করেন প্রশাসন।
এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকার সুশীল সমাজ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available