লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বসতবাড়ি নির্মাণে লক্ষ-কোটি টাকা খরচ করা হলেও রাখা হচ্ছে না ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সরকারি রাস্তা খুঁড়ে পাইপ দিয়ে অপর প্রান্তের সরকারি খালেই ফেলা হচ্ছে ময়লাসহ সকল বর্জ্য। সরকারি খালই যেন এখনকার সেপটিক ট্যাংক! এক্ষেত্রে নিরব ভুমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে রায়পুর পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডস্থ ল্যাংড়া বাজার নামক স্থান থেকে চাঁদপুর যাওয়ার পথে রাস্তার বাম পাশে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। আর রাস্তার অপর প্রান্তে অর্থাৎ ডান পাশেই সরকারি খাল। নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকগণ অত্যান্ত চালাকির সাথে বাড়ি নির্মাণের সময়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে, রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তা কেটে পাইপ দিয়ে অপর প্রান্তের সরকারি খালেই ফেলছেন প্রতিদিনের ব্যবহৃত ময়লা ও পানি।
বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও নেয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ।
স্থানীয়রা বলেন, এক সময় এই খালের পানিতেই চলতো আমাদের চাষাবাদ ও দৈনন্দিন ব্যবহার। কিন্তু যখন থেকে খালের অপব্যবহার শুরু হয়েছে, তখন থেকে এ পানি ব্যবহারতো দূরের কথা, এই খালের পাশ দিয়ে চলাচল করতেও কষ্ট হয়। কারণ প্রতিনিয়ত খালে ভাসতে থাকে মানুষের মল। দেখা যায় অন্যান্য আবর্জনাও। এতে যেমন দূষিত হচ্ছে আমাদের পরিবেশ, তেমনি সম্মুখীন হচ্ছি নানা রোগ বালাইয়ের।
বাড়িগুলো ভাড়াটিয়ারা জানান, বাড়ি মালিকদের প্রায় সকলেই নাকি প্রবাসী। আর মালিকপক্ষের অন্যান্য সদস্যরা নিজেদের বাপ-দাদার ভিটাতেই বসবাস করেন। তাই ভবনগুলোতে রয়েছেন শুধুই ভাড়াটিয়া।
বিষয়টি নিয়ে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বলেন, এই বাড়িগুলো আমি ক্ষমতায় বসার আগেই নিজেদের মনমতো নির্মাণ করেছিল তারা। আমি চেষ্টা করছি, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available