• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১২:৪২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১২:৪২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

কেমন আছে সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ!

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৪:৫৮:৩২

কেমন আছে সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ!

জাহাঙ্গীর হোসেন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কেমন আছে, সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামে এ মসজিদ অবস্থিত। এটি পঞ্চদশ শতাব্দির রাজধানী খ্যাত শাহ মোহাম্মদাবাদে সুলতানী শাসনামলে স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন।

পূর্বদিকে রয়েছে পুকুর ও ওযু করার সুব্যবস্থা। একটি বড় ও তিনটি ছোট গম্বুজ এবং বারান্দাসহ মসজিদটি বর্গাকৃতির। প্রত্নতত্ত বিভাগ ১৯৮৩ সালে খননের পর গম্বুজের কেন্দ্রস্থল ২ ফুটের মত ভাঙ্গা দেখতে পান। একইসাথে মসজিদের পাশে একটি কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এটি গোড়াই নামের এক দরবেশের মাজার বলে অনেকের ধারণা। তার নামানুসারে এ মসজিদকে গোড়ার মসজিদ নামকরণ কয়।

মসজিদে পাঁচ ফুট প্রশস্ত দেয়াল। পূর্বদিকে তিনটি প্রবেশদ্বার এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে দুইটি বড় ও দুইটি ছোট মোট চারটি প্রবেশ পথ এখন জানালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পশ্চিমের দেয়ালে তিনটি মেহরাব আছে। পশ্চিম দেয়ালে ৭/৮ ফুট লম্বা দুইটি এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে দুইটি মোট চারটি কালো পাথরের স্তম্ভ আছে।

মসজিদের দেয়ালে পোড়মাটির পত্র-পুষ্পে শোভিত শিকল, ঘন্টাসহ বিভিন্ন নকশা আছে। বাইরের দেয়াল পুরোটাই পোড়ামাটির কারুকার্যে অলংকৃত। যা দেখে ভ্রমণপিপাসুদের অন্তরতৃষ্ণা আরও বহুগুনে বেড়ে যাবে।

সেলিম হোসেন নামের একজন  বলেন, যশোহর শহর থেকে এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। নামাজ পড়ে আবার যশোহর বাসায় ফিরে যাব। মসজিদটিতে নামাজ পড়ে খুবই আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।

মসজিদের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, গোড়ার মসজিদটি অনেক সুন্দর। আমরা স্থানীয়রা প্রতিদিন এখানে নামাজ পড়তে আসি। নামাজ পড়ার পাশাপাশি এখানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন। এটি মোগল আমলের
তৈরি বলে অনেকেই দাবি করেন।

বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, মসজিদটির যখন সন্ধান পাওয়া যায় তখন এটি মাটিচাপা দেওয়া ছিল। ওপরে বন-জঙ্গল ও গাছপালা থাকায় বোঝার উপায় ছিল না যে এর নিচে কোনো মসজিদ আছে। সেসময় মসজিদের আশপাশেই লোকজন নামাজ পড়তেন।

তিনি আরও বলেন, একদিন ফুরফুরা শরিফের পির আবু বক্কর সিদ্দিক (রহ.) এখানে আসেন। তখন তিনি বলেছিলেন এখানে একটি মসজিদ আছে। তোমরা আশপাশে নামাজ না পড়ে এখানে সবাই নামাজ পড়বা। তখন থেকে সবাই এখানে নামাজ পড়া শুরু করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫