স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: সাভারের আশুলিয়ায় কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা, বিবস্ত্র ছবি ধারণ ও সহায়তা করায় চার জনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারণ করা ছবি জব্দ করা হয়েছে।
৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টায় আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার হাশেম কলোনীর ভাই ভাই ভিলার নিচতলায় ধর্ষণ চেষ্টার এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ভাদাইল তালতলা এলাকার আবুল বাশারের ছেলে মো. জাহিদ হাসান (৩০), খুলনার ইকগাছা থানার বেতবুনিয়া গ্রামের মো. ফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ গাজী (২১), ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মধ্য ধনিয়া এলাকার মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো.ইসমাইল হোসেন দিপু (২৬) ও পটুয়াখালীর সদর থানার নন্দীপাড়া গ্রামের মো. জাফর মৃধার ছেলে মো. সজল মৃধা (২৯)। এরা সবাই আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত সজীব সরকার। গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেলে ফোনটি দেখানোর জন্য সজীবের বাসায় যায়। সজীব মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করে। সজীবের রুমমেট ইসমাইল হোসেন দিপু কৌশলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। এসময় তার সহযোগীদের ডেকে এনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সজীবসহ ভুক্তভোগীকে মারধর করে। পরে সোহাগ গাজী সজীবকে ওই বাসার ছাদে নিয়ে যায়। এসময় জাহিদ ওই কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং বিবস্ত্র ছবি ধারণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার দিলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে এই ঘটনার কথা জানায়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) অপূর্ব সাহা আসামিদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের কাছে থাকা বিবস্ত্র ছবি জব্দ করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available