ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় ঘুষ ছাড়াই মিলে সকল ধরনের আইনি সেবা। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্মনিষ্ঠা, নির্ভীক এমন বিভিন্ন গুণাবলী মুগ্ধ করেছেন এ উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন গত ৮ জুন ২০২৩ সালে ক্ষেতলাল থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানেই এখন পর্যন্ত কর্মরত আছেন। গত ৮ মাস ধরে এ থানায় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালনকালে ওসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ১১০টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ৫০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ৪১০টি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ৬০টি নন এফআইআর প্রসিকিউশন। জনগণকে সচেতন করতে ২৫০টি উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। কোনো প্রকার উৎকোচ ছাড়াই ৩৩০ জনকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদক মামলায় ১০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ। প্রায় ২০ লাখ টাকার মাদক দ্রব্য ইয়াবা, ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট, হেরোইন, গাঁজা উদ্ধার। পাশাপাশি চোরায় গরু উদ্ধার, মাজারের সিন্ধুক উদ্ধার, ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়া তার উদ্ধারসহ অসংখ্য কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে এ এলাকায় অপরাধীদের আতঙ্কের আরেক নাম ওসি আনোয়ার হোসেন।
আরও জানা গেছে, ওসি আনোয়ার হোসেন এ থানায় যোগদানের পর থেকেই তার বিশেষ উদ্যোগে উপজেলায় অপরাধ দমনের পাশাপাশি উন্নতি হয়েছে আইনশৃঙ্খলার। এছাড়াও দিনরাত নিরলসভাবে কাজের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, থানায় দালালদের তদবির ও কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই অসহায় মানুষদেরকে সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করেছেন তিনি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে থানা পুলিশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের ফলে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
একজন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়েও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে আপন করে নেয়ার গুন রয়েছে তার মধ্যে। তিনি তার সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সর্ব সাধারণের কাছে। পুলিশের প্রতি অনেকের বিরুপ ধারনা থাকলেও আনোয়ার হোসেনের মতো একজন সৎ অফিসারের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটা উজ্জ্বল হচ্ছে। ক্ষেতলাল থানার ওসির নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ সদস্য। এতে করে কিছুটা হলেও সফলতা মিলেছে বলে ভূয়সী প্রশংসা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এলাকার একাধিক ব্যক্তির মতে, বর্তমান ওসি আনোয়ার হোসেন এ থানায় যোগদানের আগে চুরি, জুয়া, মাদক, ইভটিজিংসহ ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার কর্মদক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে দমন করেছেন। যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনায় নিষ্ঠার সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল রহস্য উদঘাটন করে আসামিদেরকে গ্রেফতার। এছাড়াও চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক, জুয়া, ইভটিজিংয়ের মত অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। একারণে উপজেলাবাসীর কাছে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যের কাজে আমি কখনো আপোষ করিনি। আমি সততার সাথে পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সেবামূলক কাজের মাধ্যমে, বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করে যাবো। আমার থানা এলাকা থেকে মাদক, চুরি, ছিনতাই, জুয়া, জঙ্গি সহ সকল প্রকার অপকর্মের বীজ উপড়ে ফেলবো।
তিনি আরও বলেন, আমার থানার কোনো অফিসার কোনো অপকর্ম করলে, কোনো মাদক কারবারির নিকট থেকে কোনো সুবিধা নিলে কিংবা ঘুষ আদায় করলে নির্ভয়ে থানায় এসে জানাবেন। আমার থানার পুলিশ সদস্য বলে আমার কাছে কোনো প্রকার ছাড় নেই। গরিব দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষসহ সকলের জন্য থানার দরজা সবসময় খোলা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available