খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা ও মেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও নানান অপকর্ম। এতে অনুষ্ঠানস্থলে মেলা ঠিকঠাক চললেও মেলা বা তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রায় ছয় শত বছরের প্রাচীন এই মেলা। গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে মাঘের অমাবস্যা তীথিতে শতাব্দি শতাব্দি আগে এই মেলার প্রচলন হয়েছিলো। সেই থেকে প্রতি বছর এই মেলা হচ্ছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পুতুল নাচের নামে যুবতী মেয়েদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্যের নাচ ঘর চলছে। খোলামেলাভাবে বসেছে জুয়ার আসর। মেলার অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক।
অতিরিক্ত সাউন্ড, জুয়া ও অশ্লীলতাসহ অসামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। কিন্তু আয়োজক কমিটির ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না।
প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই বহাল তবিয়তে চলছে সার্কাস। মেলায় হস্তশিল্প, ছোটদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান থাকলেও মেলায় আগত হাজার হাজার যুবক ও মধ্যবয়সীরা টিকিট কেটে ঝুঁকছে পুতুল নাচের দিকে। মেলায় পুতুল নাচের প্যান্ডেলের নাম ছিলো, চোখের পলক জাদু প্রদর্শনী। রাতের বেলা মেলার এক অংশ দখল করে ছিলো জুয়ার বোর্ড।
মাত্র তিন দিন পরেই শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। শর্ত জুড়ে দেওয়া অনুমতি লঙ্ঘন করে চলছে মেলার কার্যক্রম। এতে করে অন্তত উপজেলার প্রায় ৫'শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী ক্ষতির মুখে পড়বে।
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মেলার গেইটে পুলিশ। এর কয়েক গজ সামনে জুয়ার আসর চলছে। এর পাশেই চলছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও নৃত্যের আসর।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, মেলায় এ ধরণের কার্যক্রমের অনুমতি নেই। এসব কার্যকলাপে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে মেলার আয়োজক কমিটির সাথে বৈঠক করেছি। প্রকৃতঅর্থে কোথাও এমন কার্যকলাপ চলমান থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available