মুজাহিদ: চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। যত সময় যাচ্ছে ততই উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জুড়ে। চারিদিকে সহস্র বইয়ের সমারহ আর লেখক, পাঠকের সমাগম যেন এক জ্ঞান আদান-প্রদানের পিঠস্থানে রূপ নিয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি রোববার সরজমিন বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, তরুণ পাঠক ও লেখকের সমারহে মুখর একুশে বইমেলা। অনেক প্রকাশকের মতে, বইমেলাতে তরুণ পাঠকরাই বেশি বই কিনে থাকেন। জ্ঞানের সাগরের তৃষ্ণা মেটাতে তরুণ বইপ্রেমীরা খুঁজে ফেরেন বৈচিত্র্যপূর্ণ লেখা।
ঢাকা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও লেখক ড. ডি. এম ফিরোজ শাহ্ বলেন, 'মানবিক গুণাবলি এবং যৌক্তিক গুণাবলি যদি না থাকে তাহলে কেউ পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারে না। আর এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা এবং শিক্ষা অর্জনে আমাদের বই পড়ার গুরত্ব অপরিসীম।'
অর্ধশতাধিক বইয়ের লেখক অধ্যাপক ফিরোজ শাহে্র এবার বইমেলাতে এখন পর্যন্ত দু'টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি 'অন্য চোখে বঙ্গবন্ধু' ও অন্যটি 'নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন, অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা ও বাস্তবতা'। 'এখনো তোমাকেই ভালোবাসি' শিরোনামে আরও একটি কবিতার বই আসবে।
প্রকাশিত বইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, 'নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন বইটি নিয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। কারণ, এখানে আমাদের নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় যেমন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য, বাস্তবতা, সাংবিধানিক ব্যাখ্যা, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের যুক্তিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেজন্য এ বইটি নিয়ে শিক্ষকমহলসহ অভিভাবকদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'অন্য চোখে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সুন্দর একটি বই। এখানে অন্য চোখে বলতে নারীর চোখে বঙ্গবন্ধুকে বোঝানো হয়েছে। আশা করছি, এটিও মানুষের ভালো লাগবে।'
বইমেলাতে মানুষের সাড়া নিয়ে তিনি বলেন, 'সাধারণত মেলায় বই ক্রয়ে মানুষের সাড়া পাওয়া যায় মাসের শেষের দিকে। এখন মানুষ আসবে, এক রাউন্ড ঘুরবে, দেখবে কী কী বই আসছে এবং সামনে আরও কী কী বই আসবে। এর পর তারা সিন্ধান্ত নেবে কোন কোন তারা কিনবে।'
মেলা নিয়ে ভাবনা ও আশার কথা জানতে চাইলে লেখক বলেন, 'বই কোনো পণ্য না, বই হলো আমাদের সম্পদ। বইকে লালন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। মানুষ বইমেলাতে আসছে, সামনে আরও আসবে। এর মাধ্যমে আমরা লেখক প্রকাশক মানুষের কাছে পৌঁছাবো এবং জ্ঞানের পরিধিকে আরও প্রসারিত করবো।'
রফিকুল ইসলাম রাজু নামে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'এবছর বেশ কয়েকবারই বইমেলাতে এসেছি। বইয়ের প্রতি ভাললাগা থেকে প্রায়ই আসা হয়। এখন পর্যন্ত দু'টি বই নিয়েছি। সামনে আরও নতুন বই আসলে সেখান থেকে নেয়ার চিন্তা আছে।
নাইমুল ইসলাম নাইম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'মেলাতে বন্ধুদের সাথে আসছি নতুন বই দেখতে ও ঘুরতে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার হুমায়ূন আহমেদের লেখা পছন্দ। আগেও আমি তার লেখা বেশ কয়েকটি গল্প, উপন্যাস, নাটক পড়েছি। যেমন, পাখি আমার একলা পাখি, এই মেঘ, রৌদ্রছায়া, মীরার গ্রামের বাড়ী, দূরে কোথায়, জলকন্যা, শ্রাবণ মেঘের দিন। এবছর এখনো কোনো বই কিনিনি। তবে শেষের দিকে তার কিছু বই নিবো।'
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available