কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমবাগান থেকে এক প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে সাধুসঙ্গের আস্তানার পাশের আমবাগান থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রবাস ফেরত ওই ব্যক্তির নাম মো. হযরত (৩৩)। তিনি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। তিনি প্রায় মাসখানেক আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কণ্যাদায় গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে মোছা. নিলা খাতুনের সঙ্গে হযরতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই সৌদি আরব থাকতেন। স্ত্রী গত ২৫ দিন আগে সৌদি আরব থেকে তার সোনার গহণা এবং নগদ টাকা নিয়ে দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর হযরত সেখানে তার স্ত্রীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে জানতে পারেন তার স্ত্রী ঝিনাইদহে শশুর বাড়িতে আছেন। ঝিনাইদহের জুয়েল নামের এক ব্যক্তির সাথে হযরতের স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।
নিহতদের স্বজনদের দাবি, হযরতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমবাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ছেলে মাসখানেক আগে দেশে ফিরে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলে আমার বাড়ি থাকে না। তেমন যোগাযোগও ছিল না। সকালে খবর পেয়ে টুটুল সাধুর আমবাগানে লাশ পেয়েছি। তার ভাষ্য, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের ভাই তুষার বলেন, আমার ভাইয়ের শালা নয়ন রোববার মুঠোফোনে ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আর আজ মরদেহ পেয়েছি। ভাই আত্মহত্যা করেনি। ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সু্ষ্ঠু বিচার চাই।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আমরা তদন্ত করে দেখব আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available