কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তাওহীদ ইসলাম নামের ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া এলাকার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাওহিদ আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র।
র্যাব ১০-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আব্দুল্লাহপুর এলাকায় তাওহীদ ইসলাম নামের ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক।
এ ঘটনায় র্যাব ১০ সদস্যরা ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে রাজধানীর শ্যামপুর পোস্তগোলা এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অপহরকারী মকবুলকে মুক্তিপণের ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া এলাকার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে রাত সাড়ে এগারোটায় ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
র্যাব-১০ আরও জানায়, প্রতিদিনের মতো তাওহিদ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে তাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা পূর্ব পরিচিত মকবুল তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে শিশুটিকে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে তার মায়ের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীর কথা অনুযায়ী ভিকটিমের মামা ৩ লক্ষ টাকা রাজেন্দ্রপুর ফুটওভার ব্রিজের চার নম্বরে পিলারের কাছে রেখে আসে। অপহরণের টাকা নেয়ার পরে ঘাতক মকবুল বুঝতে পারে তাওহীদ তাকে চিনে ফেলেছে। তাই সে তাওহীদকে শ্বাসরোধ হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে পালিয়ে যায়।
নিহত তাওহীদের বাবা প্রবাসে থাকায় অপহরণ করে মোট অংকের টাকা আদায় করা যাবে, এমন বিশ্বাসে দ্রুত সময়ে বড়লোক হওয়ার নেশায় এই কাজ করেছে বলে ঘাতক মকবুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available