ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে রাস্তাঘাট নেই বললেই চলে। দুর্গম এ চরাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা আর শুকনো মৌসুমে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। আর এ গাড়ি চালিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।
এখন চরাঞ্চলের মানুষের মালামালের বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরাঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলে বাড়ি নেওয়া ও উপজেলা সদরে বিক্রির জন্য নদীর ঘাটে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। রাস্তাঘাট না থাকায় চলাঞ্চলের অধিকাংশ ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটে বেড়াচ্ছে এ চর থেকে ওই চরে।
পানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র এখন মরুভূমি। এতে উপজেলার সাতারকান্দি, রসুলপুর, খাটিয়ামারি, ফুলছড়ি, টেংরাকান্দি, বাজে ফুলছড়িসহ চরের প্রায় ৫০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ঘোড়ার গাড়িযোগে বহন করছেন। এতে একদিকে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়েছে, অন্যদিকে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা এসেছে পরিবারগুলোতে। সংসার চালানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে দৈনিক ৭০০-৮০০ টাকা উপার্জন করেন চালকরা। আর ঘোড়ার খাবারের জন্য প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় ২০০-২৫০ টাকা। আর বাকি টাকায় চলে সংসার।
শুকনো মৌসুমে চরাঞ্চলের বাদাম, ভুট্টা, মসুর ডাল, বোরো ধান, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন পণ্য ঘোড়ার গাড়িতে বহন করে বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, সচেতন মহল বলছেন, নদী ভাঙন এলাকার যতো মালামাল সব পরিবহন করা হয় ঘোড়ার গাড়িতে। ফজলুপুর, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪ শতাধিক ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করছে। ফুলছড়িতেই প্রায় দেড় থেকে দুইশ গাড়ি রয়েছে। এদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দরকার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available