লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: অপরাধ নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্মীপুর জেলা শহর ও আঞ্চলিক মহাসড়ককে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় এনেছে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শহরের উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী ও বাস টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ২৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রশাসন আরও জানায়, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরাগুলোর তদারকি চলছে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে।
শহরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ২০২৩ সালের ৭ জুন রাতে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় আর কে শিল্পালয়ে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি সংগঠিত হয়। সে সময় মালিক ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে অনেক স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় ডাকাতদল। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ব্যবহৃত গাড়িচাপায় সফি উল্যা নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও লুটে নেওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে অস্থির হয়ে উঠেছিল জনজীবন।
এর ফলে লক্ষ্মীপুর শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। অবশ্য এর আগে ২০১৬ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ তেমুহনী, আদর্শ সামাদ মোড়, চকবাজার ও বঙ্গবন্ধু চত্বরসহ বিভিন্নস্থানে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। কিন্তু যথাযথ তদারকি না থাকায় কার্যকারিতা হারায় ক্যামেরাগুলো।
শহরের বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি এ শহরে বেড়েছে মোটরসাইকেল চুরি। এখন অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে পুলিশ সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবে। ইতোমধ্যে যার দৃষ্টান্ত হিসেবে কয়েকজন অপরাধীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শহরের উত্তর তেমুহনী, দক্ষিণ তেমুহনী ও বাস টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ২৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো চালু থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এতে করে কমছে অপরাধ, সহজেই শনাক্ত হচ্ছে অপরাধীরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available