হাবিবুর রহমান : মৎস অধিদপ্তরে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ফতুল্লায় এক নারী সাংবাদিকের নিকট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৎস অধিদপ্তরের ঠিকাদার মিজানুর রহমান (৫০) এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ঐ নারী সংবাদকর্মী মনি ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ জাহাঙ্গীর মেম্বারের অফিস সংলগ্ন সিরাজুল হকের পুত্র।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী মনি ইসলাম একজন সংবাদকর্মী। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মৎস অধিদপ্তরের ঠিকাদার অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাকে বলে যে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদে চাকুরী নিয়ে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে ৮ লাখ টাকা লাগবে।
বাদী তার কথা বিশ্বাস করে ২০২১ সালে মে মাসের ২৫ তারিখে অগ্রিম দুই লাখ টাকা প্রদান করে। চাকুরি পাওয়ার পর বাকী টাকা প্রদান করিতে হবে।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে। টাকা ফেরৎ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বাদীকে জানায় জালকুড়ি এলাকায় তার ৪ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখান থেকে বাদী কে দুই শতাংশ জমি লিখে দিবে। একপর্যায়ে বাদীকে জানানো হয় তার পরিবারের বেশ কিছু স্বর্ণালংকার একটি স্বর্ণের দোকানে গচ্ছিত রয়েছে তা উত্তোলন করিতে হবে, তা না হলে তা বায়েজাপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। এ জন্য দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন।
বাদী তখন তাকে আর দেড় লাখ টাকা প্রদান করে পাগলা বাজারস্থ স্বর্ণের দোকানে গিয়ে দুই ভরি দশ আনা ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে আসি। তাকে জমি রেজিস্ট্রার করে দেবার জন্য বললেও সে তা না করে তালবাহানা করতে থাকে। এতে তার সন্দেহ হলে সে অপর একটি স্বর্ণের দোকানে গিয়ে স্বর্ণগুলো দেখায়। তখন বাদীকে বলা হয় সেগুলো নকল স্বর্ণালংকার। এতে করে বাদী তার টাকা ফেরৎ চাইলে সে আত্নগোপনে চলে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের চে করছে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available