পিরোজপুর প্রতিনিধি: বন্ধুর বউয়ের সাথে পরকীয়ার সন্দেহে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজনক আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলায় প্রধান আসামি কামরুল হাওলাদার ও তার স্ত্রী নারগিস বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইন্দুরকানীর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবারণ ও গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের দুই যুবক আহত ছগির হাওলাদার ও কামরুল হাওলাদার দীর্ঘদিনের খুবই ঘনিষ্ঠ (বন্ধুর) সম্পর্ক ছিল। চট্রগ্রামে কাজকর্ম করতেন একই সাথে। তবে কামরুল হাওলাদারের স্ত্রী নারগিস বেগমের সাথে বন্ধু ছগির হাওলাদারের গোপন প্রেমের সম্পর্ক চলছে, এমন সন্দেহে বুধবার রাতে কামরুল তার নিজ বাড়িতে ডাকে ছগির হাওলাদারকে।
মামলার বিবারণ ও গ্রামবাসীর সূত্রে আরও জানা যায়,তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একটি দাড়ালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে ছগিরকে। আহত ছগীরকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতের পরিবার দাবি, পাওনা ৫০ হাজার টাকা চাইতে গিয়েই এ হামলার শিকার ছগির।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম ছগির হাওলাদারের শরীরে একাধিক দাড়ালো দা দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি কামরুল হাওলাদার ও তার স্ত্রী নারগিস বেগমকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available