• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৫০:০৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:৫০:০৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

গ্রামীণ বাংলার কুপি বাতি আজ শুধুই স্মৃতি

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৪:৪২:০৭

গ্রামীণ বাংলার কুপি বাতি আজ শুধুই স্মৃতি

ওবায়দুল ইসলাম, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: লফামারীতে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কুপি বাতি। আজ থেকে প্রায় দুই যুগ পূর্বেও ছিল কুপি বাতির কদর। আলোর একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতি ছিল ঘরে ঘরে। আজ সময় ও কালের বিবর্তনের পাশাপাশি যুগের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি। আগামী প্রজন্মের কাছে এখন কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি। তাদেরকে এ বাতির পরিচয় জানতে হলে যেতে হবে যাদুঘরে।  

এক সময় রাতের অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতির প্রচলন ও ব্যবহার ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে দোকান পাটসহ সর্বত্রই ছিল কুপিবাতির ব্যবহার। গ্রামবাংলার অধিকাংশ লোকের কাছে কুপিবাতির কদর হারিয়ে গেছে। এখন বিজলী বাতির কারণে কুপিবাতি বিলীন।

একটা সময় সন্ধ্যা হলেই কুপিবাতির মিটিমিটি আলোয় চেনা যেত গ্রামের সেই চিরচেনা রুপ। শুধু তাই নয়, রাজা-বাদশাদের বাড়িতেও ছিল বাহারি ডিজাইনের কুপিবাতি, আধুনিক যুগের ছোয়ায় এখন তা শুধুই স্মৃতি। আজ কালের বিবর্তনে ও প্রযুক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়ায় বহুল জনপ্রিয় ব্যবহৃত কুপিবাতি হারিয়ে গেছে।

গ্রামীণ বাংলার প্রতিটি বাড়িতেই কুপিবাতির প্রচলন ছিল বিদ্যমান। তবে আকার ভেদে কোনটা ছিল মাটির তৈরি, কোনটা কাঁচের আবার কোনটা পিতলের পাশাপাশি সেই সময় টিনের তৈরি কুপিবাতির প্রচলনও ছিল প্রতি ঘরে ঘরে। আকার গঠন অনুযায়ী বড়, মাঝারি এবং ছোট পাওয়া যেত এবং দামে ছিল মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে।

মাটির তৈরি কুপিবাতি বাজারে বিক্রি হতো ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায়। টিন এবং পিতলের গুলো বিক্রি হতো ৩০ টাকা ৪০ টাকা। এছাড়াও  প্রতিনিয়ত বড় কুপিবাতি গুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এবং বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত হতো।

এ কুপিবাতি জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত হতো কেরোসিন তেল। আর আলোর তারতম্য ঘটানোর জন্য লাগত কাপরের ছোট-বড় টুকরা বা পাটের আঁশ, যাকে গ্রাম্য ভাষায় শৈল্তা বলা  হতো।

এক সময় দেখা যেত গ্রামীণ বধুরা প্রতি সন্ধ্যায় এ বাতি জ্বালানোর জন্য বিকেলে এটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ঠিকঠাক করে রাখত। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানিরা কুপিবাতিকে একটি খুটির সাথে বেঁধে দোকান করতো। গ্রামীণ জনপদের  মানুষের অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিদ্যুতের আবিস্কার ও ইলেকট্রিক নানা রকম উপকরণ যেমন টর্চলাইট, এলইডি বাল্ব, সোলার প্যানেলের ফলে হারিয়ে গেছে বহুল ব্যবহৃত কুপিবাতি। যা বর্তমান সমাজের মানুষের কাছে শুধুই স্মৃতি।

এ বিষয়ে কথা হয় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলীর সাথে। তারা বলেন, আমরা নিজেরাই কুপিবাতি দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আর আজ এই কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি। তোমাদের কাছে কুপিবাতির কথা শুনে আমাদের আগেরকার দিনের কথা মনে পড়ে গেল। সেসময় প্রচুর অভাব ছিল মানুষের। এটির সাথে আমাদের জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত। তবে অদুর ভবিষ্যতে এ কুপিবাতি দেখতে তরুণ প্রজন্মকে যাদুঘরে যেতে হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ






ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩