উত্তম কুমার, বাকেরগঞ্জ : বরিশালের বাকেরগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছে তরমুজ চাষীরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করছেন তারা।
‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরে এ বছর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাকেরগঞ্জের চরাঞ্চলে পতিত জমিতে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের তরমুজ। ৫০০ হেক্টর জমিতে এ বছর তরমুজের চাষ করা হয়। তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাষিরা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা, গারুড়িয়া, ফরিদপুর ও দূর্গাপাশা ইউনিয়নে নদীর চরাঞ্চলে জমি লীজ নিয়ে এ বছর প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছেন পটুয়াখালীর গলাচিপার চাষীরা।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে বাকেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ভিক্টর সুগার, ওসেন সুগার, ব্লাকবেরিসহ দেশীয় জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। চরাঞ্চলে যুগের পর যুগ অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকা জমিতে তরমুজ চাষের কারণে সবুজের পরিণত হয়েছে। তাদের বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিঘা প্রতি তিন থেকে চার লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন তারা।
সরকারিভাবে সহোযোগিতা পেলে কৃষিরা আরও এগিয়ে নিয়ো যেতে পারবে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে ক্ষেতের তরমুজ ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের হয়েছে। বিশ পঁচিশ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে তরমুজ কাটা হবে। পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন তরমুজ হাটে এগুলো বিক্রি হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল জানান, এ বছর সম্পূর্ণভাবে নতুন করে অনাবাদি জমিতে কৃষকরা তরমুজ চাষ করছে। আমরা তাদের সার ঔষধ দিয়ে সহযোগিতা করছি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনিতি কুমার সাহা জানান, এখানে ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করেছি। পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available