রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কুপিয়ে রাশেদকে নদীতে ফেলে দিলে ভেসে চলে যায় মরদেহ। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করা হলেও আর খুঁজ মিলেনি রাশেদের। নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পাঁচ দিন পরে মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদ খানের অর্ধগলিত মরদেহ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ২টায় স্থানীয় এক কৃষক নীলিমা পয়েন্টে মরদেহটি দেখতে পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানালে পাথরঘাটা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। নিহত রাশাদ খান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাশেদের মালিকানাধীন মাছবাহী ট্রলার নিয়ে চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিনজন। তাদের মধ্যে রাশেদ নিজে এবং মাঝি হিসেবে ছিলেন ইব্রাহিম ও জামাল মোল্লা। পথিমধ্যে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর (ধানখালী) ইউনিয়নের পাটুয়া হয়ে গলাচিপা যাওয়ার পথে ক্যারিংবোটের মাঝি ইব্রাহিম হামলা চালায় মালিক রাশেদ ও জামালের ওপর।
তাদের মধ্যে জামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে আত্মরক্ষায় সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। আহত জামাল সাঁতরে তীরে উঠে আসে। কিন্তু ব্যবসায়ী রাশেদকে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে লুট করা মাছ নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর বরগুনা জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে মাছ নিয়ে বিক্রি করতে গেলে ট্রলার মাঝি ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদ নিখোঁজ ছিলেন।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মরদেহ প্রাথমিক সুরতহাল শেষ হয়েছে। ময়নতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে দ্রুতই পাঠানো হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available