ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ইটনার হাওরে প্রথমবারের মতো ৩৩ শতাংশ জমিতে বাহারি ফুলকপি চাষ করেছেন চৌগাংগা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাইয়ুম। ফসল ভালো এবং বাজার দাম পাওয়ায় আনন্দিত এই কৃষক। আগামী বছর এই ধরনের রঙিন ফুলকপি চাষের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তা করছেন তিনি।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিরকরণ প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে বাহারি ফুলকপির বীজ এবং অন্যান্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইটনা।
কৃষক আব্দুল কাইয়ুম জানান, সাদা ফুলকপি আর এই রঙিন ফুলকপি চাষের খরচ সমান সমান। কিন্তু ফলন বেশি হওয়া এবং বাজারে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বেশি। সেকারণেই সাদা ফুলকপি থেকে ২০-৩০ টাকা প্রতি পিসে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই, আগামী বছর এই ধরনের রঙিন ফুলকপি চাষের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তা করছি।
হাওরের অন্য কৃষক মো. রতন মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় প্রথমবার এই রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে, দেখতে সুন্দর, ফলন ভালো এবং দামেও ভালো। তাই, আমরাও আগামী বছর এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো।
এই কৃষকদের মতো আরও অনেক কৃষক এই রঙিন ফুলকপি চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের আশা দেখছেন।
কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী শফিকুল ইসলাম স্বপন জানান, হাওরে প্রথম এই রঙিন ফুলকপি চাষ যার জন্য সার্বিকভাবে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আশা করছি, এই ধরনের রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এই বছর ইটনাতে প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপির একটি প্রদর্শনী দেওয়া হয়। পুষ্টিগুণ বেশি এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এই ফুলকপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আগামী বছর এই ফুলকপির আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available