খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘর। অনেকে বরাদ্দ পেয়েও সেখানে থাকছেন না। তাঁদের অন্যত্র বাড়ি থাকায় উপহারের ঘরে এখন ঝুলছে তালা। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এ রকম অনেক ঘর দেখা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ সুবিধাভোগী বরাদ্দ পাওয়া ঘর অন্য কাজে ব্যবহার করছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খোকসা উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষের সেমি পাকা একক গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪২৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে কিছু ভূমিহীন ও গৃহহীন উপহারের ঘরে উঠেছেন। তবে ৫০ শতাংশ সুবিধাভোগী এখনো বাড়িতে ওঠেননি।
তবে ঘরে যাঁরা উঠেছেন, তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা বরাদ্দ পেয়েও থাকেন না, তাঁরা ঘরের বারান্দায় খড়কুটো ও লাকড়ি গাদা করে রেখেছেন। সন্ধ্যার পর ফাঁকা ঘরগুলো অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়।
শিমুলিয়া তাঁতীপাড়ার আশ্রয়ণের বাসিন্দা অঞ্জনা শর্মা বলেন, 'সব বাড়িতে লোক থাকলে নিরাপদেই থাকা যেত। অধিকাংশ ঘরে কেউ থাকে না। রাতে ঘর থেকে বের হতে ভয়ে গা ভারী হয়ে যায়। সবাই যে যার মতো ঘরে সিন্দুকের মতো তালা ঝুলিয়ে গেছে। এদিকে ফিরে-ফুচকিও দেয় না।'
ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, 'ঘর পাওয়া অনেকে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তবে তিনি চাপ দেওয়ার পর কয়েকজন ঘরে উঠেছেন।' বাকিরাও উঠবেন বলে জানান তিনি।
ঘর বরাদ্দ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ বা অনিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আখতার বলেন, 'ওই প্রকল্পের জমি নির্বাচন থেকে ঘর বরাদ্দ পর্যন্ত-সবই করে থাকেন ইউএনও।'
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, 'আমার কাছে ১৮ পরিবারের নথি আছে, যারা আশ্রয়ণের ঘরে থাকে না। তাদের সমস্যা হচ্ছে, তারা ঘর পরিবর্তন করতে চায়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available