শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাসলিমা খাতুনকে ১৩ বছর পর চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। তাসলিমা উপজেলার পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১৪ এর জামালপুরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
কোম্পানি অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-৭। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাসলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামি তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের বাড়িতে বেড়াতে যান। এর দুদিন পর জলিলের মেয়ে আকলিমা খাতুনকে (৪) অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে তাসলিমা জলিলের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি নকলা থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত আকলিমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নকলা থানায় তাসলিমাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন শিশুটির বাবা আব্দুল জলিল। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তাসলিমা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি তাসলিমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় এবং ৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available