এশিয়ান রেডিও
এশিয়ান রেডিও
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলক চন্দ্র বিশ্বাস ও সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন পিকুলর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়মে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় অতিষ্ঠ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একাংশ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান ও ওহিদুল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরনের রশিদ প্রদান ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে কাউকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর পদে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অজানা কারণে স্কুলের পশ্চিমপাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ বন্ধ করে রেখেছেন তারা। বেআইনিভাবে তারা স্কুলের জমি ইজারা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ম্যানেজিং কমেটির সদস্য হিসাবে প্রধান শিক্ষক গোলক চন্দ্র বিশ্বাসাসের নিকট স্কুল ফান্ডের অর্থের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, সভাপতি সব টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন।
সম্প্রতি স্কুলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে দুজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বলেন, বিগত দিনে এ স্কুলের লেখাপড়ার মান ভালো থাকলেও বর্তমান সভাপতির আমলে লোখাপড়ার মান একেবারেই নিম্নমুখী। ম্যানেজিং কমিটি কোনো মিটিং করে না। নিয়োগ বানিজ্য শেষ করে এখন আর তিনি বিদ্যালয়ে ঠিকমত খোঁজখবর রাখেন না।
কালিয়া উপজেলার দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পলি খানম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের কথামত অর্থ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা এবং অন্যসকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে শিক্ষকদের অবসর ভাতার জন্য।
কালিয়া উপজেলার দত্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলক চন্দ্র বিশ্বাস তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খেলাধুলার পুরস্কার ওই সময় না দেয়া হলেও আগামী ৭ মার্চ দেয়া হবে। কম্পিউটার অপারেটর নিয়ম মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়া টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, শিক্ষকদের অবসর ভাতার জন্য এ টাকা নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় সরকারি নিয়ম নীতি মেনে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।
House-60, Block-A, Road-1, Gulshan 1, Niketon, Dhaka, Bangladesh.
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available