রংপুর ব্যুরো: বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়ে মূলত চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ার ফলে। কিন্তু আলুর ক্ষেত্রে ঘটনাটি উল্টো ঘটেছে। উৎপাদনের পরিমাণই বলে দিচ্ছে দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। কারণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদিত আলুর পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার টন। অন্যদিকে আমাদের চাহিদা মাত্র ৯০ লাখ টন। এরপরও খুচরা বাজারে আলুর দামে ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যায়নি, অন্যদিকে ভরা মৌসুমে কম দামে আলু বিক্রি করে লোকসানে পড়তে হয় কৃষকদের। এই জটিল হিসাবের কারসাজির পিছনে হাত রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর।
রংপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রংপুরে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে আলুর। কিন্তু হাসি নেই চাষিদের মুখে। কারণ, ন্যায্যদাম না পাওয়ায় গুণতে হচ্ছে লোকসান। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এই মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ১২ হেক্টর বেশি। গত বছর ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছিল।
কৃষক হাফিজার বলেন, সার-কীটনাশকের দাম বেশি। অন্যদিকে আলুর গাছে রোগ হওয়ার কারণে চাষিদের খরচ বেড়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে আলু উত্তোলনের সময় কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানান, এবার রংপুর অঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এ ছাড়া এবারে আলুর ভালো দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। শীতের কারণে আলু চাষে কৃষকরা শঙ্কিত থাকলেও তাদের কৃষি বিভাগ থেকে পরিমিত পরিমাণে স্প্রে করতে বলা হয়। এতে করে আলুর খেত ভালো ছিল এবং আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিন্ডিকেট করে কেউ যাতে চাষিদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সে ব্যাপারেও সরকারের নজরদারি করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available