সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: রাজধানীর সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিটি ইউনিভার্সিটির বখাটে শিক্ষার্থীদের হামলা, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় ৫ ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক দোকান মালিক তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মার্কেটের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু বখাটে শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে মারধরসহ দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে ব্যবসায়ীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঝামেলা তৈরি করে এবং পরবর্তীতে তারা সেগুলো মীমাংসার কথা বলে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। তাদের কথা অমান্য করলেই ব্যবসায়ীদের উপর হামলা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালানো হয় তাণ্ডব।
মুদি দোকানী নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে খাবার পানিকে কেন্দ্র করে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হৃদয়, হিমেল, শুভ, রাশেদ ও শাহেদ আমার ছোট ছেলে শামীমের সাথে বাকবিতণ্ডা জড়িয়ে তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় শামীম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমার বড় ছেলে সেলিম এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা।
পরবর্তীতে ক্যাম্পাস থেকে আরও ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী তাদের সাথে যোগ দিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এছাড়া হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমার ছেলে শামীম পাশ্বর্বর্তী তরিকুল ইসলামের দোকানে আশ্রয় নিলে বখাটে শিক্ষার্থীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে তরিকুল ও তার ছেলে আসিফকে মারধর করে। এসময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে দোকানে ক্যাশ বাক্স ভাংচুর করে নগদ টাকা, সিগারেট, চানাচুর, কেক ও কোমলপানীয়সহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
মার্কেট মালিক মো. সিফাত বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু বখাটে শিক্ষার্থী এলাকায় মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে সদাই নিয়ে টাকা দেয় না। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ফাঁড়ির পুলিশকে অবহিত করা হলেও আমরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই আমরা ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব বখাটেদেরকে আইনে আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. দিদার হোসেন বলেন, বখাটে কিংবা সন্ত্রাসী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available