নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে বসতঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে চরসিঙ্গিয়া গ্রামের মৃত আলেক মোল্লার ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ মো. কমির মোল্লা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সিঙ্গিয়া মৌজার হাল ৭৭৩ দাগে তার ১২ শতক পৈত্রিক জমিতে বসতঘর ও বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। ওই জমি নিয়ে সিঙ্গিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম খালাসীর ছেলে অহিদুল ও জাহিদুল’র সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এমনকি নড়াইল সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যার নং ২১৮/২০২৩। মামলা করার পর তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। তারা ওই জমি দখলে নিতে তৎপরতা চালাতে থাকে।
তিনি আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেলে তারা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় এসে ওই ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করেন। অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসায় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কমির মোল্লা জানান, সশস্ত্র আক্রমন ও ঘর পোড়ানোর সাথে জড়িতরা হলেন- চরসিঙ্গিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম খালাসীর ছেলে অহিদুল খালাসী (৩৫) ও জাহিদুল খালাসী (৪০), মৃত ছোরাপ খালাসীর ছেলে রুহল খালাসী (৫০) ও হালিম খালাসী (৬০), মৃত জরিপ মোল্লার ছেলে হাফিজ মোল্লা (৬০) ও রতন মোল্লা (৫০), আজিজার মোল্লার ছেলে তরিকুল (৪০), হাফিজার মোল্লার ছেলে উজ্জ্বল মোল্লা (৩৫) ও চঞ্চল মোল্লা (৩০), পার্শ্ববতী তারাশী গ্রামের মোরাদ মোল্লার ছেলে আকাশ মোল্লা (২৫), দিলু খন্দকারের ছেলে লিংকন (২৬) ও কালু খন্দকারের ছেলে রিয়াজুল (২৫)।
চরসিঙ্গিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কমির মোল্লা, টিপুসহ আরও অনেকে জানান, অহিদুল খালাসী ও জাহিদুল খালাসী কোন কিছুই মানে না। তারা স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের কোন কথা শুনছে না। বার বার জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে। মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি ঘরে ও খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তারা অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অনেককে আহত করেছে। তাদের সুষ্ঠু বিচার না হলে এলাকা আরও অশান্ত হয়ে উঠবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হামিদা বেগম বলেন, তারা যেভাবে আক্রমন করেছে। আগুন দিয়েছে তাতে এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীদের ন্যুনতম বিচার না হলে তারা ভবিষ্যতে বড় ধরনের অঘটন ঘটাবে।
অভিযুক্ত অহিদুল ও জাহিদুলসহ এ চক্রের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকেই এলাকায় পাওয়া যায়নি।
নড়াইল সদর থানার (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালত যার পক্ষে রায় দিবেন তিনি জমির মালিক হবেন। এখানে পুলিশের কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ নেই। কাউকে আটক করা হয়নি। তাই ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তথাপিও বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available