নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে জটিলতার যেন শেষ নেই। জমির মালিকের আপত্তি ও নানাবিধ জটিলতায় বন্ধ রয়েছে রাস্তার নির্মাণ কাজ।
২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর গ্রামের কানাইলাল অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় একটি চক্র পৌরকর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করে তাদের একক ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে ওই রাস্তার নির্মাণ কাজ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সম্প্রতি পৌরকর্তৃপক্ষ তাদের উস্কানিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা চালায়। বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপর মেয়র আঞ্জুমান আরা ও তার সঙ্গীয় লোকজন চড়াও হন।
কানাইলাল অধিকারীর ভাই কর্ণ অধিকারী দুঃখের সাথে বলেন, মেয়র আঞ্জুমান আরা একজন ভালো মানুষ। তিনি আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা করে দিতে চান। এতে আমরা খুবই খুশি। কিন্তু পাশের জমি থেকে কোনো জমি না নিয়ে এককভাবে আমাদের জমি দিয়ে রাস্তা করতে চান। এ বিষয়ে আমরা আপত্তি করায় তিনি অনেক দুর্ব্যবহার করেছেন। কোনো কথা না শুনে অন্যের কথা বিশ্বাস করে অহেতুক আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। যা ভাষায় বর্ননা করা যায় না।
আমারা স্থানীয়রা ওই রাস্তা করার জন্য বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দুপাশের জমির মালিকরা সমপরিমাণ জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিব। তাছাড়া ওই রাস্তা ব্যবহার করার জন্য প্রতিবেশী সিংহ পরিবার তাদের জমি থেকে এক শতক জমি আমাদেরকে দিবেন, বিনিময়ে তারা ওই রাস্তা ব্যবহার করবেন। অথচ সিংহ পরিবারের লোকজন ওই জমি না দিয়ে আমাদের জায়গা দিয়ে রাস্তা করানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা নানাভাবে কুটকৌশল করে রাস্তা নির্মাণ কাজ করাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুঃখজনক ব্যাপার হলো মেয়র মহোদয় তাদের চাতুরতা না বুঝে আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে আমাদের জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে সচেষ্ট রয়েছেন। এককভাবে রাস্তার জায়গা দিতে অস্বিকৃত জানানোতে মেয়র চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে ভেকু দিয়ে গর্ত করে রেখেছেন। এতে জনসাধারনের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
কর্ণ অধিকারীর মেয়ে মিরা অধিকারী বলেন, মেয়র আঞ্জুমান আরা আমাদের অভিভাবক। কিন্তু তিনি অভিভাবকের মত আচরণ করছেন না। ব্যক্তি বিশেষকে সুবিধা দিতে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন।
নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, কারো জমি দিয়ে জোর করে রাস্তা করা হবে না। তারা যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। বরং তারা অসৌজন্য মূলক ব্যবহার করেছে। তারা যা করেছে, তা একজন মেয়রের সাথে কেউ করে না। জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তা। জনগণ না চাইলে, জোর করে রাস্তা করার প্রশ্নই ওঠে না। স্থানীয়দের মতামত নিয়ে রাস্তা করার জন্য যে পরিমাণ জায়গা দরকার, তা যদি সকলে সম্মতিতে ছেড়ে দেয়, তা হলেই রাস্তা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available